বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর করেছেন টাইগাররা। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওডিআই সেঞ্চুরির, সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে এলো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস, ওপেনার তামিম ইকবাল যোগ করলেন ৪০ রান, শেষদিকে ওডিআই অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তুজা এবং এবং আরাফাত সানি ঝড়োগতিতে ব্যাট চালালেন। ফলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া টাইগাররা ৯ উইকেটে তুলল ২৭৩ রান। যাকে ম্যাচ জেতার মতো সংগ্রহ বলা চলে। সংক্ষেপে এই হচ্ছে লাল সবুজের দল বাংলাদেশের ইনিংস।মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের মুদ্রা নিক্ষেপে জয়ী হয়ে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। সম্ভবত সন্ধ্যার পরে 'ডিউ ফ্যাক্টর' বোলারদের সমস্যায় ফেলতে পারে ভেবেই ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সফরকারী দলের অধিনায়ক।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুটো উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ইনজুরিতে পড়ে দলের বাইরে থাকায় তামিমের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে এসেছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু নামের পাশে কোন রান যোগ না করেই তিনি ফেরেন সাজঘরে। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পড়া জংওয়ের গুড লেন্থ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্রায়েম ক্রিমারের হাতে ধরা পড়েন লিটন। ওয়ানডাউনে নামা মাহমুদুল্লাহ (৯) দলীয় ত্রিশ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে স্ট্যাম্প হারিয়ে প্যাভিলিয়নমুখো হলে বিপদে পড়ে যায় টাইগাররা। দলকে এই অবস্থা থেকে টেনে তোলেন ওপেনার তমিম ইকবাল এবং টাইগারদের টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে দু'জনে ৭০ রান যোগ করেন। বাংলাদেশের সংগ্রহটা কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান হওয়ামাত্রই আবারও আঘাত হানে জিম্বাবুয়ে। ধীরগতির পিচে সিকান্দার রাজার বলটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি তামিম। সপাটে চালাতে গিয়ে লং অনে জংওয়ের হাতে ক্যাচ দিলে শেষ হয় তামিমের ৪০ রানের ইনিংস। পরের আঘাতটাও সিকান্দার রাজার। ব্যক্তিগত ১৬ রানে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে সাকিব ফিরলে বাংলাদেশের সংগ্রহটা খুব বড় হবে বলে ধারণা করা যায়নি। কিন্তু সাবি্বর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিকুর রহিম টেনে নেন বাংলাদেশের ইনিংস। দু'জনে পঞ্চম উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়লে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এই পথে সাবি্বর রহমান দেখা পান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরির। ৫৩ বলে অর্ধশত রান পূর্ণ করেন সাবি্বর। তিনি রান আউট হয়ে ফেরার আগে খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। তার এই ৫৮ বলের ইনিংসে চারটি বাউন্ডারি এবং দুটো ছক্কার মারছিল।সাবি্বর ফিরলেও একটা প্রান্ত আগলে রেখে নিজের চতুর্থ ওডিআই সেঞ্চুরি (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়) পূর্ণ করার পাশাপাশি রানের চাকা চালু রাখেন মুশফিকুর রহিম। ১০৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পথে মুশফিক আটটি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান। সাবি্বরের মতই মুশফিকও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন। বেশ কিছুদিন ধরে রান খরায় থাকা মুশফিক থামেন ১০৭ রানে। শেষদিকে টাইগার দলপতি মাশরাফি মোর্তুজা আট বলে একটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মারে ১৪ এবং সমসংখ্যক বলে আরাফাত সানি তিন বাউন্ডারিতে ১৫ রান যোগ করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে সিকান্দার রাজা ও মুজারাবানি দুটো করে এবং তিনাশে পানিয়াংগারা ও জংওয়ে একটি করে উইকেটের লাভ করেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Comment Blogger 0 Facebook
Post a Comment
আপনার একটি মন্তব্য লেখককে অনুপ্রানিত করে ,মনোবল বাড়ায় এবং ভবিষৎতে ভাল কিছু উপহার দেয় । তাই পোষ্টটি কেমন হয়েছে জানাবেন । আপনার মন্তব্য আমরা যথাসম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ।